র‌্যাপিড পাস মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে যাত্রীদের দোরগোড়ায় র‌্যাপিড পাস কার্ড সরবরাহ করা যায়। একটি টেকসই  ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে, ক্লিয়ারিং হাউজ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে  একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সংস্থা  গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিবহন ক্লিয়ারিং হাউজের পরিচালনা ও সম্প্রসারণ করা হবে এবং র‌্যাপিড পাস কার্ডের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে এই কার্ড ব্যবহার করে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, টোল পরিশোধ, সুপারমার্কেটে কেনাকাটা, শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন লেনদেন করা যাবে।

ভবিষ্যতে বিভিন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা, যেমন এমআরটি লাইন, রেলপথ, বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন), সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা—এসবকে একত্রিত করে একটি আধুনিক ও সমন্বিত ই-টিকেটিং প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের প্রতিবার আলাদা আলাদা টিকেট কাটার প্রয়োজন হবে না। র‌্যাপিড পাস ব্যবহারকারীরা সহজেই নিরবচ্ছিন্ন, ঝামেলামুক্ত এবং ক্যাশলেস লেনদেনের মাধ্যমে যেকোনো গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবে, যা গণপরিবহন ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও, র‌্যাপিড পাস-এর মাধ্যমে সংগৃহীত ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য এবং বিগ ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক, কৌশলগত ও পরিকল্পিত নগর পরিবহন ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে। এটি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সহজতর করবে এবং যাত্রীদের জন্য আরও কার্যকরী ও দ্রুতগামী পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে।

র‌্যাপিড পাস শুধু গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নেই নয়, বরং স্মার্ট নাগরিক ব্যবস্থা, স্মার্ট অর্থনীতি, এবং স্মার্ট সমাজ  বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি নগর জীবনের মানোন্নয়ন করবে এবং টেকসই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবে। র‌্যাপিড পাস আধুনিক নগর পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে, যা নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নিরাপদ করবে।